ঢাকা , বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবনের ঝুঁকিতে শ্রমিক-কর্মচারীরা

মেয়াদোত্তীর্ণ যন্ত্রাংশে চলছে নর্থ বেঙ্গল চিনিকল

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ০৫-০২-২০২৫ ০২:০৪:৩৬ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৫-০২-২০২৫ ০২:০৪:৩৬ অপরাহ্ন
মেয়াদোত্তীর্ণ যন্ত্রাংশে চলছে নর্থ বেঙ্গল চিনিকল ​ছবি: সংগৃহীত
৯২ বছরের পুরোনো নাটোরের নর্থ বেঙ্গল চিনিকলে মেয়াদ উত্তীর্ণ যন্ত্রাংশ দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে আখ মাড়াই। চলতি মাড়াই মৌসুমে চিনিকলটিতে টারবাইন বিস্ফোরণের পরও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। অনেক যন্ত্রাংশে মাটি ও সিমেন্টের প্রলেপ দিয়ে চালানো হচ্ছে চিনিকলটি। চিনিকলটিতে প্রায় এক হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করলেও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে কর্তৃপক্ষ। ২০১৩ সালে চিনিকলটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হলেও ১১ বছরে তা বাস্তবায়ন হয়নি।

১৯৩৩ সালে স্থপতি নাটোর চিনিকলের ৯২তম মাড়াই শুরু হয় গতবছরের ১৫ নভেম্বর। চিনিকলটির যন্ত্রাংশের মেয়াদ অনেক আগেই পার হওয়ায় প্রায় দিন আখ মাড়াই বন্ধ হয়ে যায়। শ্রমিক কর্মচারীরা মেরামত করে জোড়া তালি দিয়ে আবার মাড়াই শুরু করেন।

তবে গত ১৮ জানুয়ারি চিনিকলটির আখরে রস প্রক্রিয়াকরণ যন্ত্র টারবাইনে বড় বিস্ফোরণ ঘটে। ওই সময় শ্রমিকরা সেখানে না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আব্দুর রফিক নামে এক শ্রমিক বলেন, চিনিকলের সব যন্ত্রাংশ ড্যামেজ হয়ে গেছে। অনেক যন্ত্রাংশে হাত দিতে ভয় করে। চিনিকলের সব যন্ত্রাংশ বদলানো জরুরি হয়ে পড়েছে।

শামীম নামে আরেক শ্রমিক বলেন, ১৮ জানুয়ারি চিনিকলটির টারবাইন বিস্ফোরণে আশেপাশে কেউ থাকলে নিশ্চিত হতাহতের ঘটনা ঘটতো। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কারখানায় কাজ করত হয়। মেয়াদ উত্তীর্ণ যন্ত্রাংশ পরিবর্তন জরুরি।

৯২ বছরের এই চিনিকলটিতে ১৯৮৪ সালে আংশিক যন্ত্রাংশ বদল করার পর আর যন্ত্রাংশের সংস্কার হয়নি। ২০১৩ সালে চিনিকলটির যন্ত্রাংশ বদলানোর উদ্যোগ নেয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। বিষয়টি স্বীকার করে চিনিকলটির কারখানার জেনারেল ম্যানেজার মমিন হোসেন বলেন, ১৩ সালে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হলেও তাদের দরপত্রের বাজেটের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি টাকা দাবি করে ঠিকাদাররা। ফলে চিনিকলটি আর সংস্কার করা হয়নি। তবে চিনিকলটি আধুনিকায়ন করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

নর্থবেঙ্গল চিনিকলের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন)আনিছুর রহমান বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ যন্ত্রাংশ দিয়ে আখ মাড়াই করতে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ যন্ত্রাংশ দিয়ে চিনিকলটি গত বছরও প্রায় ২০ কোটি টাকা লাভ করেছে। চিনিকলটি আধুনিকায়ন করা হলে আরও লাভ করবে।

উল্লেখ্য, চলতি মাড়াই মৌসুমে ২ লাখ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ১৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে চিনিকলটি।

বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ